পাঠ ৫ ও ৬ : মিয়োসিস
এ অধ্যায়ের শুরুতে জেনেছি মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মিয়োসিস কেন হয়?
মাইটোসিস কোষ বিভাজনে অপত্য কোষগুলোর ক্রমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের সমান থাকে।
বৃদ্ধি ও অযৌন জননের জন্য মাইটোসিস কোষ বিভাজন অপরিহার্য। যৌন জননে পুং ও
স্ত্রী জনন কোষের মিলনের প্রয়োজন পড়ে। যদি জনন কোষগুলোর ক্রমোজোম সংখ্যা
দেহকোষের সমান থেকে যায় তাহলে জাইগোট কোষে জীবটির দেহকোষের ক্রমোজোম
সংখ্যার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মিয়োসিস কোষ বিভাজনে জননকোষে ক্রমোজোম সংখ্যা
মাতৃকোষের ক্রমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। ফলে দুটি জননকোষ একত্র হয়ে যে
জাইগোট গঠন করে তার ক্রমোজোম সংখ্যা প্রজাতির ক্রমোজোম সংখ্যার অনুরূপ
থাকে। এতে নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্রমোজোম সংখ্যার ধ্রুবতা বজায় থাকে।
জননকোষ সৃষ্টির সময় এবং নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদের জীবন চক্রের কোনো এক সময় যখন এরকম ঘটে তখন কোষের ক্রমোজোম সংখ্যার সে অবস্থাকে হ্যাপ্লেয়েড (n) বলে। যখন দুটি হ্যাপ্লেয়েড কোষের মিলন ঘটে তখন সে অবস্থাকে ডিপ্লেয়েড (2n) বলে ।
জননকোষ সৃষ্টির সময় এবং নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদের জীবন চক্রের কোনো এক সময় যখন এরকম ঘটে তখন কোষের ক্রমোজোম সংখ্যার সে অবস্থাকে হ্যাপ্লেয়েড (n) বলে। যখন দুটি হ্যাপ্লেয়েড কোষের মিলন ঘটে তখন সে অবস্থাকে ডিপ্লেয়েড (2n) বলে ।
সুতরাং মিয়োসিস কোষ বিভাজন হয় বলেই প্রতিটি প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় টিকে থাকতে পারে।
মিয়োসিসের বৈশিষ্ট্য:
১. ডিপ্লয়েড জীবের জনন মাতৃকোষ ও হ্যাপ্লয়েড জীবের জাইগোটে মিয়োসিস ঘটে।
২. এ ধরনের কোষ বিভাজনে একটি কোষ থেকে চারটি কোষের সৃষ্টি হয়।
৩. ক্রমোজোম একবার বিভক্ত হয় এবং নিউক্লিয়াস দুবার বিভক্ত হয়।
৪. সৃষ্ট চারটি কোষের নিউক্লিয়াসে ক্রমোজোম সংখ্যা মাতৃ নিউক্লিয়াসের ক্রমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।
১. ডিপ্লয়েড জীবের জনন মাতৃকোষ ও হ্যাপ্লয়েড জীবের জাইগোটে মিয়োসিস ঘটে।
২. এ ধরনের কোষ বিভাজনে একটি কোষ থেকে চারটি কোষের সৃষ্টি হয়।
৩. ক্রমোজোম একবার বিভক্ত হয় এবং নিউক্লিয়াস দুবার বিভক্ত হয়।
৪. সৃষ্ট চারটি কোষের নিউক্লিয়াসে ক্রমোজোম সংখ্যা মাতৃ নিউক্লিয়াসের ক্রমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।
মিয়োসিস কোথায় ঘটে?
মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রধানত জীবের জনন কোষ বা গ্যামেট সৃষ্টির সময় জনন মাতৃকোষে ঘটে। সপুস্পক উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বকের মধ্যে এবং উন্নত প্রাণিদেহে শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় এর মধ্যে মিয়োসিস ঘটে।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রধানত জীবের জনন কোষ বা গ্যামেট সৃষ্টির সময় জনন মাতৃকোষে ঘটে। সপুস্পক উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বকের মধ্যে এবং উন্নত প্রাণিদেহে শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় এর মধ্যে মিয়োসিস ঘটে।
মিয়োসিস কোষ পদ্ধতি:
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় একটি জনন মাতৃকোষ পরপর দুবার বিভাজিত হয়। প্রথম বিভাজনকে প্রথম মিয়োসিস-১ এবং দ্বিতীয় বিভাজনকে দ্বিতীয় মিয়োসিস-২ বলা হয়। প্রথম সময় সৃষ্ট দুইটি অপত্য কোষের ক্রমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়। দ্বিতীয় বিভাজনটি মাইটোসিসের বিভাজনের অনুরূপ। অর্থাৎ প্রথম বিভাজনে উৎপন্ন প্রতিটি কোষ পুনরায় বিভাজিত হয়ে দুইটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে অপত্য কোষের ক্রোমোজম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজমের সংখ্যার সমান হয়। ফলে একটি জননমাতৃকোষ(2n) থেকে চারটি অপত্যকোষ (n) সৃষ্টি হয়।
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় একটি জনন মাতৃকোষ পরপর দুবার বিভাজিত হয়। প্রথম বিভাজনকে প্রথম মিয়োসিস-১ এবং দ্বিতীয় বিভাজনকে দ্বিতীয় মিয়োসিস-২ বলা হয়। প্রথম সময় সৃষ্ট দুইটি অপত্য কোষের ক্রমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়। দ্বিতীয় বিভাজনটি মাইটোসিসের বিভাজনের অনুরূপ। অর্থাৎ প্রথম বিভাজনে উৎপন্ন প্রতিটি কোষ পুনরায় বিভাজিত হয়ে দুইটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে অপত্য কোষের ক্রোমোজম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজমের সংখ্যার সমান হয়। ফলে একটি জননমাতৃকোষ(2n) থেকে চারটি অপত্যকোষ (n) সৃষ্টি হয়।


No comments:
Post a Comment